বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অসহায় মঞ্জুরি কমিশন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দুর্নীতিগ্রস্ত ও আইন অমান্য করে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অসহায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা প্রশাসন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পেরে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সচেতন হতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করছে ইউজিসি। কয়েক বছর ধরে এটি করা হচ্ছে। এবারও তা করা হয়েছে।

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা, প্রতিষ্ঠানের তহবিল তছরুপসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা প্রশাসন ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ পুরোপুরি কার্যকর করতে পারছে না। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি বেড়েই চলছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন রাকিব উদ্দিন।

প্রতি বছর ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে দায়সারাগোছের একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি। সর্বশেষ ৮ আগস্ট ৩৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা (গণবিজ্ঞপ্তি) জারি করেছে ইউজিসি। এর মধ্যে ২৫টির বিষয়ে দুর্নীতি, মালিকানা দ্বন্দ্ব, অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এছাড়া সরকার নির্ধারিত জমির চেয়ে কম জমিতে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে প্রাইম, গ্রিন, সাউথ ইস্টসহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচালিত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকানা দ্বন্দ্ব থাকলেও তা ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

আইন মেনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগে অনীহা: ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির সার্টিফিকেটে মূল স্বাক্ষরকারী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা মহামান্য রাষ্ট্রপতি। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৫টিতে উপাচার্য, ২৩টিতে উপ-উপাচার্য ও ৪৮টিতে কোষাধ্যক্ষ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত রয়েছেন। বাকি ১৮টি বিশ্ববিদ্যায়ে অবৈধ উপাচার্য, ৭০টিতে অবৈধ উপ-উপাচার্য ও ৪৫টিতে মালিকপক্ষের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।

গত বছর একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ বাণিজ্য, তহবিল আত্মসাৎ ও ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এর দায়দায়িত্ব ইউজিসির ঘাড়ে ছেড়ে দেয়। পরে ইউজিসি এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করলেও ওই কমিটির কার্যক্রম আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তা আমলে নিচ্ছে না। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নিরীক্ষা প্রতিবেদন করালেও সেটি ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার দায়ে সরকারও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সনদ ও ভর্তি বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, কর ফাঁকি, অবৈধভাবে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগ, বিদেশি শিক্ষার্থীর তথ্য গোপন রাখা এবং জামায়াতপন্থি ব্যক্তিদের শিক্ষক নিয়োগ দেয়াসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শীর্ষস্থানীয় নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্টার্ন, ইন্ডিপেনডেন্ট, স্টামফোর্ড, ড্যাফোডিল, এশিয়ান, প্রাইমসহ পুরনো এবং অপেক্ষাকৃত নতুন ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের ফিরিস্তি উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য নানা ফন্দি আঁটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা (মালিক)। এছাড়া ঘন ঘন ট্রাস্টি বোর্ডের সভার নামে ইচ্ছামতো সম্মানী নেয়া, বিদেশে গিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা করা, ট্রাস্টি সদস্যদের নামে গাড়ি কিনে ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে শীর্ষস্থানীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

এদিকে ৮ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) দুই ছাত্রসহ নব্য জেএমবির ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটি (সিটিটিসি)।

জানা গেছে, এর আগেও বিভিন্ন সময় জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে এনএসইউয়ের বেশ কয়েক ছাত্রকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪-১৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি ছিল। এছাড়া হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের মধ্যে নিবরাস ইসলামও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের উদাসীনতা এবং এসব বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভর্তির ব্যাপারে ৩৪ বিশ^বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গণবিজ্ঞপ্তি : ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কয়েকটির অবৈধভাবে শাখা ক্যাম্পাস চালানো, কোনটির বিরুদ্ধে অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। আবার এরআগে কয়েকটি বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু পরে আদালতের আদেশ পায় মালিকপক্ষ। এখনও সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমতি পায়নি। মালিকানা দ্বন্দ্ব ও বন্ধের সুপারিশপ্রাপ্ত কয়েকটি বিশ^বিদ্যালয়ও রয়েছে গণবিজ্ঞপ্তির তালিকায়।

ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে এখনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা বৈধ নয়। সনদে স্বাক্ষরের দায়িত্ব উপাচার্যের। এ জন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেগুলোয় সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নবিদ্ধ, আইন লঙ্ঘন করে প্রোগ্রাম ও ক্যাম্পাস চালাচ্ছে, সেগুলোয় শিক্ষার্থীরা যাতে ভর্তি না হনÑ এ জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্যÑ কেউ যেন কোথাও আন্দাজে ভর্তি হয়ে প্রতারিত না হন, এ ব্যাপারে সজাগ করা।

নতুন ও পুরনো মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫টির কার্যক্রম চালু আছে। এগুলোর মধ্যে ৩৪টির ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। ওই ৩৪টির মধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এগুলো হলো ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, মানিকগঞ্জের এনপিআই ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। আর ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই প্রোগ্রাম চালাচ্ছে শরীয়তপুরের জেডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব অর্থাৎ মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এগুলো হলো ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ও রাজধানীর মিরপুরে অনুমোদিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এছাড়া রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতেও দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমই শুরু হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন পাওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। ৯টি বিশ^বিদ্যালয় ওই অনুমতি পায়নি বা নেয়নি। এগুলো হলো ঢাকার কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, রাজশাহীর আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়া সনদ বাণিজ্য ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। ওই সময় ‘কুইন্স ইউনিভার্সিটি’ও বন্ধ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতের মামলার রায়ে এটিও পরিচালনার অনুমতি পায়। তবে এটি শর্ত অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বলে ইউজিসি সূত্র জানায়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062310695648193