বাংলা নববর্ষের এক সপ্তাহ পরেও বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারেননি খুলনার ফুলতলা উপজেলার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা। ফুলতলা রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে, বৈশাখীভাতা ও মার্চ মাসের বেতনের টাকা তোলা সম্ভব হয়নি বলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে অভিযোগ করেন। তাছাড়া বেতন ভাতা তুলতে না পেরে অনেক শিক্ষকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় শিক্ষক নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকার গত ৯ এপ্রিল চেক পাঠিয়েছে এবং আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে এ টাকা তোলা যাবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২১ এপ্রিল পার হলেও ব্যাংক ম্যানেজারের খাম খেয়ালীর কারণে আজও আমরা বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারিনি।
ফুলতলা উপজেলার রাড়ীপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক টুকুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ১৩ এপ্রিল থেকে বৈশাখী ভাতার টাকা তুলবো বলে চেক পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ব্যাংকের গাফিলতির কারণে আজও টাকা তুলতে পারলাম না।
গাড়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, আমি ফুলতলা থেকে ১৭ কিলোমিটার দুরে ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর এলাকায় থাকি। কিন্তু পর পর দু’দিন ব্যাংকে এসে ব্যাংক বন্ধ পেয়ে বাড়ি চলে গেছি।
শিরোমনি মাদরাসার শিক্ষক শারাফুল ইসলাম বলেন, দৌলতপুর রুপালী ব্যাংকের শাখাটি খোলা থাকলেও ফুলতলা শাখাটি বন্ধ। তাই তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফুলতলা শাখা রুপালী ব্যাংক ম্যানেজার মানবেন্দ্র নারায়ণ সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নিদের্শনা মোতাবেক ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে নোটিশ দিয়েছি। তারপরও আমরা শুধুমাত্র শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষকেরা যাতে ভাতা ও বেতন যথাসময়ে তুলতে পারে সেজন্য বেতন ও বোনাস সীটে স্বাক্ষর করেছি।
অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবিরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকেরা সামান্য পরিমাণে বৈশাখী ভাতা পেয়ে থাকেন। যথাসময়ে সেটা তুলতে না পারাটা খুবই দুঃখজনক। অবিলম্বে শিক্ষকেরা যাতে বেতন ও বোনাস যথাসময়ে তুলতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।