বেতন বৈষম্য দূর করে শিক্ষকদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে শিক্ষক সমাজের নায্য দাবি ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বকেয়াসহ বৈশাখী ভাতা এবং এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির-বাশিস নেতারা। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মীরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তারা এ আহবান জানান।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করন লিয়াঁজো ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি।
সভায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. রবিউল আলম। তিনি বলেন, আজ শিক্ষকদের আর্থসমাজিক মর্যাদা কমে গেছে। অর্থনৈতিক দৈন্যতা বা শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে রাজ পথে শিক্ষকদেরকে সংগ্রাম করতে হয়। বেতন-বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষকদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম ও অনশন করতে হয়। দেশ ব্যাপি বিভিন্নভাবে শিক্ষক হয়রানি, চাকরিচ্যুত ও নির্যাতিত হচ্ছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিক্ষকদের যে মর্যাদা বাংলাদেশে সেটা নেই। শিক্ষকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নেই। বেতন বৈষম্যের কারণে শিক্ষার গুনগত মান আজ ধ্বংসের কাছাকাছি।
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে পালিত হয়ে আসলেও বাংলাদেশে এ দিবসে রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকতা না থাকয় সভায় শিক্ষক নেতারা তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তুষ প্রকাশ করেন। এই দিনে রাষ্টপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বাণী দিয়ে শিক্ষক সমাজকে জাতির কাছে অধিকতর সম্মানীত করা উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সহ সভাপতি মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. কামরুল খান, যুগ্ম মহাসচিব মো. আবুল হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম, কেন্দীয় নেতা মো. শাহীন শিকদার বিপ্লব, লিঁয়াজো ফোরামের অন্যতম আহবায়ক মো. অলিউর রহমান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিঞা, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মো. ফিরোজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুঞ্জুরুল আমিন শেখর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ