গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) খন্দকার মাহমুদ পারভেজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভে ৩৪ শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্ট ও মৌখিক পরীক্ষায় শূন্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি। তিনি সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের আপন ভাতিজা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতা প্রদর্শনের শিকার হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত তারা। সম্প্রতি বিভাগটির ৩৪ শিক্ষার্থীকে ক্ষমতার বলে ও ব্যক্তিগত ক্ষোভে অ্যাসাইনমেন্ট ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি ১০ নম্বরের মধ্যে শূন্য দিয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, শ্রেণিকক্ষে বসে ঘুমানো, গুগল কিংবা উইকিপিডিয়া থেকে হুবহু কপি করে শিক্ষার্থীদের শিট সরবরাহ করা ও বেশি নম্বর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের সুনাম করার অনুরোধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের চার ব্যাচের জন্য মাত্র একটি ক্লাসরুম। সেটিও টিনশেডে। বৃষ্টি হলে সেখানে ক্লাস করা যায় না। এসব সমস্যা নিয়ে কথা বললে তিনি তার সমাধান তো করতেনই না, বরং শিক্ষাজীবন নষ্ট করার হুমকি দিতেন। আর আমরা যাতে তাকে ভয় পাই, শুধু এ কারণে তিনি আমাদের ৩৪ জনের জমা দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট না পড়েই শূন্য দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে গেলে আমাদের ভুলের কথা বলেন। অথচ একই ভুল করেও অনেক শিক্ষার্থী নম্বর পেয়েছেন। অন্যদিকে যেসব শিক্ষার্থীকে শূন্য দিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই অন্যান্য পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক খন্দকার মাহমুদ পারভেজ জানান, শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো অতিরিক্ত ভালোবেসে ফেলেছি। তার পরও ওরা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে। অ্যাসাইনমেন্টে শূন্য দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, কপি পেস্ট করায় ও লেখার মান খারাপ হওয়ায় শূন্য দিয়েছি। কিন্তু যারা শূন্য পেয়েছেন তারা কীভাবে অন্য পরীক্ষায় ভালো করলেন- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এ শিক্ষক।