ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে অনার্স শাখায় মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় এবং এইচএসসি বিএম শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের চতুর্থ বর্ষ অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা গত ৭ এপ্রিল শুরু হয়। কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ থেকে সমাজকর্ম, বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫৫ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফির বাইরে অনার্স শাখার চারটি বিভাগের প্রধানরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এর মধ্যে বাংলা বিভাগের প্রধান ড. হোসনে আরা ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৪ হাজার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের রবীন কুমার লস্কর ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৩ হাজার, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তন্দ্রা রানী দাস ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৩ হাজার এবং সমাজকর্ম বিভাগের মো. ফরহাদুল ইসলাম সিকদার ৪৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৮ হাজার ৪০০ টাকাসহ মোট এক লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা অতিরিক্তি আদায় করেন।
এ ছাড়া বিএম শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্তি ১৭৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে মোট ১৭ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করেন সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রবীন কুমার লস্কর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়েই ওই টাকা নেয়া হয়েছে।
বাংলা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. হোসনে আরার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কথা বলার জন্য কলেজে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবু মোরসালিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের শৃঙ্খলা ভেঙে কেউ কোনো অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।