উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় গোপন তথ্য ফাঁসের প্রতিবাদে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা জানান, ‘কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকার ১২ স্থানে আসায় সমালোচিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। কিন্তু এক শিক্ষার্থীর ওএমআর বৃত্ত ভরাটের ভুল ও কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বহীনতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। কিন্তু শিক্ষকদের একাংশ অপর শিক্ষকদের বিব্রত করতে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। ফলে গোটা জাতি বিভ্রান্ত হয়।’
মানববন্ধনে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষা আমাদের অহংকার ও অস্তিত্বের বিষয়। কখনো ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। গত কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা নিয়ে আমরা আশাহত। যারা তথ্য সরবরাহ করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির কাছে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একটি গ্রুপকে হেয় করার জন্য তা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কুকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এ আশ্বাস যেন অন্যসব আশ্বাসের মত ঝুলে না থাকে।’
‘বি’ ইউনিটের আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, আমি এ ঘটনায় মর্মাহত। আশা করছি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে।