বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মিথ্যা পরিচয়ে পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আনোয়ার হোসাইন রোকন (২৭), এসএম শরীফ আহমেদ (২৫), নাফিস সাদিক তানজিম (২৩), মো. এলাহি দানিয়েল (২২) ও আহমেদ শাহরিয়ার তানভীর (২২)। এসময় তাদের হেফাজত থেকে সাতটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরির প্রশ্ন, বিভিন্ন ডকুমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও অর্থ লেনদেনের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিথ্যা পরিচয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিনিময়ে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতারক চক্র পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করছে ও চক্রের কতিপয় সদস্য রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের এস এ পরিবহনের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের পাঠানো পার্সেলের মাধ্যমে কাগজপত্র রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানতে পারে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের ওয়েবসাইট অ্যান্ড ই-মেইল ক্রাইম টিম। পরে নিউমার্কেট থানাধীন ৩৪৫ নং এলিফ্যান্ট রোডের এস এ পরিবহনের অফিসে পৌঁছে কাউন্টার থেকে পার্সেল রিসিভ করার সময় আনোয়ার হোসাইন রোকন (২৭)কে গ্রেফতার করা হয়।
রোকনের দেয়া তথ্যমতে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
সাইবার টিমের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মিথ্যা পরিচয়ে পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মেসেঞ্জার, গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসআপ, ভাইভার, ইমো ইত্যাদির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী প্রার্থীদের সঙ্গে চ্যাটিং ও মেসেজ আদান-প্রদান করে চুক্তি করতো। নিউমার্কেট থানায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।