‘এ ইউনিটের’ পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বাস, মাইক্রোবাস, রিকশা ও অটোরিকশাযোগে কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়। অনেকে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দেয়া ২০টি বাসেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান। এছাড়া বিভিন্ন বাইকার সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীও মোটরসাইকেল নিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে সাহায্য করেন।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন সব কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ চলছে।
এদিকে দুদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টির কারণে সিলেট এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাইরের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। সকালে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা দাঁড়িয়ে আছেন বাইরে। পরীক্ষা শেষ হলে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই অপেক্ষা। কিন্তু সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মারাত্মক বিড়ম্বনায় ফেলেছে তাদের।
ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও মদন মোহন কলেজসহ কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাকরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে বিপাকে আছেন তারা। অনেককে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মার্কেট, দোকান ও যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। আবার আশ্রয় না পেয়ে কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট ও বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে এ বছর সর্বমোট ১ হাজার ৬০৩ আসনের বিপরীতে ৭০ হাজার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ফলে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ জন। এর বাইরে ১০০টি আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আদিবাসী, পোষ্য, বিকেএসপি, প্রতিবন্ধী ও চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আছে।