জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। তাঁর বিভাগেরই শিক্ষার্থী মজনু মিয়া থাকতেন ওই শিক্ষকের মালিকানাধীন মেসে। গত বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে এসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ওই মেসে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন মজনু। কারণ করোনাকালে চার মাসের ভাড়া দিতে পারেননি।
তাৎক্ষণিক ভাড়া পরিশোধ না করলে মেসে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় মজনুকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের মধ্যস্থতায় ৬৭ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করে ওই মেসই ছেড়ে দেন মজনু।
অভিযোগের বিষয়ে ফোনে জানতে চাইলে ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বাইরে। এ নিয়ে এখন কথা বলতে পারব না।’ এ বিষয়ে প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘আমি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে বলেছি নোটিশ মোতাবেক ৬৭ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করে মেস ছেড়ে দিতে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা লজ্জার ও নিন্দনীয়। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের আন্তরিক হওয়া উচিত।’