রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন অভিভাবকরা। নিয়োগে কমিটিতে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী ও ঘুষদাতা অধ্যক্ষ প্রার্থী রুমানা শেফাসহ কমিটির সবার শাস্তি দাবি করেন তারা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে পাঠানো লিখিত আবেদনে এ দাবি জানান প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া গত ২৯ এপ্রিল স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৩ জুন করা আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে জন্য গত ২৬ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ কমিটির সাথে বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক এবং নগদ লেনদেন করেন একজন প্রার্থী। এ প্রেক্ষিতে অযোগ্য, অসৎ ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলে নিয়োগ স্থগিত ও বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সব দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি আতাউর রহমান ও ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
অভিভাবকরা জানান, নিয়োগ কমিটিতে থাকা সব সদস্য মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষের মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতে সব ধরনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। শেফার স্বামী দুদকের বরখাস্ত উপ-পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। শেফাকে অধ্যক্ষ বানাতে মোট চারজনকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ৩০ নম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় সাড়ে তিন পেলেও ভিকারুননিসার পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও সরকারি প্রতিনিধি অধ্যাপক শাহেদুল খবিরের যোগসাজশে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।