দেশের ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে আজ (শনিবার, ১১ জানুয়ারি)। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় ক্যাম্পেইন চলছে। তবে বিশ্ব ইজতেমার কারণে গাজীপুর জেলায় কর্মসূচি স্থগিত আছে। সেখানে ২৫ জানুয়ারি শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে।
৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ১ লাখ ২০ হাজার কর্মী এই কর্মসূচি সফল করতে মাঠে আছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডের মতো স্থানগুলোয় অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে এক সময়ে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ শতাংশের উপরে। সেটি এখন কমে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনের কারণে। এই ক্যাপসুলটি শিশুকে খাওয়ালে সে রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও এই ক্যাপসুলের কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ, ব্রঙ্কাইটিস রোগ থেকে রক্ষা পায় শিশু।
এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশুকে নির্ধারিত তারিখে ক্যাপসুল খাওয়ানো না গেলে তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।