ভুয়া নিবন্ধন সনদ জমা দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের চার শিক্ষক। গত জানুয়ারিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ যাচাইয়ে চার শিক্ষকের জাল সনদে তথ্য উঠে আসে।। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনজন পদত্যাগ করলেও একজন রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে।
জানা যায়, জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া চারজন শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. নাসির উদ্দীন, একই বিভাগের রাজেদা খাতুন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের খন্দকার ইফতেখারুল আহম্মেদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. আমির হোসেন।
এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ফারজানা রসুল স্বাক্ষরিত সনদ যাচাই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কলেজের ৭৮ জন শিক্ষকের মধ্যে অনার্স শাখার ওই চার শিক্ষক জাল সনদ দাখিল করে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা কেউ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। তাদের মধ্যে মো. নাসির উদ্দীন ও রাজেদা খাতুন একই নামের অন্যজনের নিবন্ধন পরীক্ষার রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে সনদ তৈরি করেছেন। আর আমির হোসেন ও খন্দকার ইফতেখারুল আহম্মেদ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও জালিয়াতির মাধ্যমে একই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে জাল সনদ বানিয়ে নিয়েছেন। নিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাইয়ে জালিয়াত ওই চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছে এনটিআরসিএ।
এদিকে জালিয়াতি ধরা পড়ার পর রাজেদা খাতুন, খন্দকার ইফতেখারুল আহম্মেদ ও আমির হোসেন পদত্যাগ করেছেন। তবে নাসির উদ্দীন পদত্যাগ না করে এখনও কলেজে শিক্ষকতা করছেন।
এ বিষয়ে চাটমোহর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ বলেন, নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। পুরোনো চিঠি ও ফাইল আমার কাছে নেই। তাই ভুয়া নিবন্ধন বা জাল সনদ নিয়ে চাকরি করা এবং পদত্যাগের বিষয়টি তার জানা নেই।
কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মো. রায়হান আলী বলেন, জাল সনদ নিয়ে চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।