একসঙ্গে অনেক জনকে ম্যাসেজ পাঠানোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হলো হোয়াটসঅ্যাপ-এর নির্মাতারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর, প্ররোচনামূলক মেসেজ এবং স্প্যাম আটকাতেই এই পদক্ষেপ।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাপটি একসঙ্গে অনেক জনকে মেসেজ পাঠানোর উদ্দেশ্যে বানানো হয়নি। এছাড়াও ব্যবসায়িক স্বার্থে অটোমেটেড মেসেজ পাঠানো নিষিদ্ধ। এ বছর ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে অ্যাপের এই শর্তাবলী মানা না হলে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি। এছাড়াও ব্যক্তিগত ব্যবহারের মধ্যেই হোয়াসটঅ্যাপকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে সংস্থা। কোনো সংস্থা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় মেসেজ পাঠাতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস’ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে সংস্থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে যারা শর্তাবলী অমান্য করছে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপটিকে আরও উন্নত করার ব্যাপারেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঠিক কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনো কিছু খোলাসা করেনি সংস্থা।
প্রসঙ্গত, এবছরের শুরুতেই হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া খবর ছড়ানো আটকাতে মেসেজ ফরোয়ার্ডের সংখ্যা ৫ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮-তে ফরোয়ার্ড করা মেসেজের উপর ‘ফরওয়ার্ডেড’ ব্যাজ দেখানো শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপে।