কুলাউড়ার ভূকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ এবং শৌচাগারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
এর আগে ৪ঠা অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া হয়। যার অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরেও পাঠানো হয়।
৫ই অক্টোবর বিকালে ভূকশিমইল এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনিরের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তণ ছাত্র সিরাজুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কালা মিয়া, সাবেক সদস্য মো. মাসুক মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য মো. রফিক মিয়া, ভূকশিমইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বীরেন্দ্র কান্ত দাস, উপজেলা ছাত্রদলের সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, যুবলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রাজু, ভূকশিমইল যুব সমাজের সদস্য নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইব্রাহিম খাঁ, মালিক আহমদ, পংকি মিয়া, ফরিদ মিয়া, কাদির মিয়া, হারুন মিয়া, মিসবাউল বাশার বাবু, হোসাইন সৌরভ, জাকারিয়া আলম মিতুল। এ সময় মানববন্ধনে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিল্ডিংয়ের প্রতিটি পিলারে ৫-৬ সুতা (১৬ মিলি-২০ মিলি) রড দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে পরিমাণে রড দেয়া হয়েছে কম।
এমনকি বিল্ডিংয়ের ছাদে ৪ সুতা রড দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ৩ সুতা রড। বিল্ডিংয়ের ফ্লোরে মোজাইকের কাজে চিপ পাথর দিয়ে ঢালাই দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে যত সামান্য সিমেন্ট ব্যবহার করে বালু ও কংক্রিটের গুঁড়ো দিয়ে ঢালাই দেয়া হয়েছে।
এ কারণে খালি হাতে টান দিলেই ঢালায় উঠে আসছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তিনি এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করছেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কুলাউড়ার দায়িত্বে থাকা আবু সাঈদ মুহাম্মদ রাহী জানান, ঠিকাদারকে বলেছি যে কাজে অনিয়ম হয়েছে সেটা ভেঙে নতুন করে কাজ করা হবে আমার উপস্থিতিতে।