অবৈধভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলকভাবে বেআইনিভাবে টাকা গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতির ঘটনা উদ্ঘাটন হওয়ার পরপরই দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। এরপরই প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণের অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩(ঘ) অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি থেকে তাঁকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
দুদকের উপপরিচালক(জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, সোমবার দুদক হটলাইনে (১০৬) ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক স্কুলটিতে অভিযান চালানো হয়। সংস্থার সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপসহকারী পরিচালক মো. সবুজ হাসানের সমন্বিত দল এ অভিযান চালায়।
দুদকের অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রসিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনা মূল্যে ভর্তি করানো হয়নি, বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও সংস্থার মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা খাতে দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে দুদক। তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে। দুদক হটলাইনে (১০৬) জনগণের অভিযোগকে স্বাগত জানাবে এবং প্রতিকার দেবে।