পদোন্নতিবঞ্চিত ৫৮৪ জন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুকের সাথে সাক্ষাৎ করে পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বঞ্চিত এই কর্মকর্তারা মৃদু ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। বঞ্চিত ৫৮৪ জনের সবাই ১৪শ’ বিসিএস-এর।
তদবির করে অনেকেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাগিয়েছেন গত বছর ও তার আগের বছর। বিষয়ভেদে দৃষ্টিকটু সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের তস্য জুনিয়র ২৪ ব্যাচের অনেকেই সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন। এতে সামাজিক ও প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, ১৪শ’ ব্যাচেরই মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক ১০ শতাংশ কোটা সুবিধায় অধ্যাপক হয়েছেন অনেক আগেই। এছাড়া ১৪শ’ ব্যাচের অনেকেই শুধু বিষয়ের কারণে অনেক আগেই পদোন্নতি পেয়েছেন কিন্তু ৫৮৪ জন এখনো সহযোগী হিসেবে রয়েছেন। এতে প্রশাসনিক জটিলতাও সৃষ্টি হচ্ছে। আজ ২ ডিসেম্বর মহাপরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন প্রায় ৫০ জন বঞ্চিত কর্মকর্তা। এ সময় মহাপরিচালক তাদের দু:খের কথা মনোযোগসহকারে শোনেন এবং মন্ত্রণালয়ে আলোচনার মাধ্যমে অতি দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বঞ্চিত কর্মকর্তারা শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির সাথেও সাক্ষাৎ করে পদোন্নতির দাবি জানান বলে দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছেন তারা।
জানা যায়, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ১৪শ’ বিসিএসের ৪১৯ জন কর্মকর্তা অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এমনকি ১৬শ’ব্যাচেরও কোনও কোনও বিষয়ের কর্মকর্তারাও অধ্যাপক হয়েছেন। কিন্তু পদোন্নতির স্ব শর্ত পূরণ ও সমযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি না পাওয়া ১৪শ’ ব্যাচের অবশিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ পারিবারিক ও সমাজিকভাবে হতাশাগ্রস্থ।
১৪শ’ ব্যাচের সবাই ২০১৩ সাল থেকে ৪র্থ গ্রেডে বেতন-ভাতাদি পেয়ে আসছেন বিধায় তাদের পদোন্নতি দেয়া হলে সরকারের কোনরূপ অতিরিক্ত আর্থিক ব্যয় হবে না বলে মন্ত্রীর কাছে দেয়া আবেদন উল্লেখ করেছেন শিক্ষকরা। তাদের চাকুরি ২৭ বছর চলমান এবং অনেকেই আগামী ১/২ বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন। ২৪ ব্যাচ যারা সরাসরি ১৪ ব্যাচের শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রী তারা একই সাথে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত, যা প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি করছে।