এনটিআরসিএর মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার এক বছরের বেশি পরও এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না কয়েকশ নিবন্ধিত শিক্ষক। এনটিআরসিএর দ্বিতীয় চক্রে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া আট শতাধিক প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। তাদের হতাশার মূল কারণ ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহিভূর্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ সর্বোপরি ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত ৯ জুন মাসে তাদের সকলের জটিলতা নিরসনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে মহিলা কোটার সমস্যায় এমপিওবঞ্চিত মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের জটিলতা নিরসনের আদেশ জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ আদেশ জারি করা হয়।
জানা গেছে, ভৌত বিজ্ঞান ব্যবসায় শিক্ষা এবং ইংরেজিসহ বিভিন্ন নবসৃষ্ট পদে এনটিআরসিএর ২য় নিয়োগ চক্রে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিধি ও যোগ্যতা মোতাবেক নির্ধারিত অর্থবছর বছর থেকে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। তারা এমপিওর আবেদনের দিন থেকে এমপিও পাবেন। তবে, এ জটিলতায় ভুক্তভোগীরা বকেয়া পাবেন না বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
মহিলা কোটার জটিলতায় ভুক্তভোগী মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বহাল থাকবেন। তারা প্রচলিত বিধি ও যোগ্যতা অনুসারে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে মহিলা কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে মহিলা শিক্ষক প্রয়োজন উল্লেখ করে এনটিআরসিএকে চাহিদা দিতে হবে। তবে, ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এ সমাধান শুধুমাত্র এনটিআরসিএর মাধ্যমে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর পর্যন্ত নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অনলাইন আবেদনের তারিখ থেকে তাদের এমপিও কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই মহিলা কোটা ও নবসৃষ্ট পদে জন্য স্কুল কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জটিলতা নিরসনের আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ পেয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করে অনেক প্রার্থীই নানা জটিলতায় এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। প্রার্থীদের মতে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় এমপিওভুক্তি এসব শিক্ষকের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। মহিলা কোটা ও নবসৃষ্ট পদের নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ায় প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।
গত ৯ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এনটিআরসিএর সার্বিক কার্যক্রম অবহিতকরণ সভায় ভুক্তভোগী এসব শিক্ষকদের জটিলতা নিরসনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এসব শিক্ষকের জটিলতা নিরসনে আজাদের জারি করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বহু প্রতিক্ষার পর শিক্ষকদের জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হল। জটিলতা যাতে দ্রুর নিরসন করা হয় তাই ভুক্তভোগী শিক্ষকদের এমপিও আবেদনের দিন থেকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আদেশ জারি করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন জটিলতায় ছিলেন। এখন তাদের জটিলতা কাটলো।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ পৃথক আদেশ দুটি মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।