এক ছাত্রীর মাকে লাঞ্ছিত করে তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটার এক স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে। এ সময় ছাত্রীর মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাথি দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়ার হুমকিও দেন তিনি। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কালমেঘা ইউনিয়নের ৩৪নং কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানসম্পন্ন গভর্নিং বডি নির্বাচন করুন বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোকে বাঁচান
অভিযুক্ত মো. মিজানুর রহমান কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে ইউপি সদস্য। ভুক্তভোগী ছাত্রী পশ্চিম কালমেঘা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ও নুরজাহান বেগমের কন্যা এবং কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা নুরজাহান বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শনিবার সকালে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য অসুস্থ মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গেলে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মা. মিজানুর রহমান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং লাথি দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। একপর্যায় আমার মেয়েকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা পুনরায় আমার মেয়েকে পরীক্ষা দেয়ার জন্য হলে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, আমার মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেবে এবং কীভাবে বাড়িতে থাকি তা দেখে নেবে ও বাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
তার সাথে সভাপতির এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে নুরজাহান বেগম বলেন, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষের এজেন্ট থাকার অপরাধে আমার সাথে এরকম করেছে সে। এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সস্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শুধু পরীক্ষার রুমের সামনে থেকে তাকে চলে যেতে বলেছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।