খুলনা জেলার ডুমুরিয়া মাজিদিয়া আলিম মাদরাসায় তিন কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এ নিয়োগ বন্ধের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানানো হয়, ডুমুরিয়া মজিদিয়া আলিম মাদরাসায় গত ২৪ জুলাই অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া- এ তিনটি শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের যোগসাজশে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পরীক্ষার আগের রাতে পছন্দের প্রার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে প্রকৃত মেধাবী প্রার্থীরা এ নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উৎকোচের টাকার একটি অংশ কয়েকজন সদস্যকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। একজন সদস্য তার ভাগের ৩০ হাজার টাকা নিয়োগপ্রাপ্ত এক প্রার্থীর বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদরাসাটির বর্তমান সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রিন্সিপাল মাওলানা বদিউজ্জামান বলেন, প্রশ্ন ডিজি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে করা হয়েছে। রাতে প্রশ্ন দেয়ার কথা সঠিক নয়। তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রিন্সিপালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ডিজির প্রতিনিধিকে আনা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফিরোজ আহম্মেদ বলেছেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অতি দ্রুত এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত অভিযোগটি শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।