শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা দুটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে। গতকাল রোববার প্রকাশিত এ দুটি নীতিমালায় মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও নারী কোটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে শর্তও শিথিল করা হয়েছে।
নীতিমালা দুটিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নির্ধারিত যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে একটি তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিল করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত নির্ধারিত হবে। এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দুটি নীতিমালাতেই বলা হয়েছে, সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করা যাবে।
কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে আগে থেকেই নারী কোটা মানার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল না। সরকার নারী কোটা মানার বাধ্যবাধকতা আরোপ করলে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এর আগে আপত্তি জানানো হয়েছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হলে পরিপত্র জারি করে পরে তা শিথিল করা হয়। তবে এবার মাদ্রাসা নীতিমালায় নারী কোটা মানার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শর্ত শিথিল করে দুটি নীতিমালায় বলা হয়েছে, যে শর্তই থাকুক না কেন, এমপিওভুক্তির বেলায় সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করতে পারবে। এগুলো হলো- শিক্ষায় পশ্চাৎপদ এলাকা, দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা, শিল্পাঞ্চল, ভৌগোলিকভাবে অনগ্রসর এলাকা যেমন, পাহাড়ি এলাকা, হাওর-বাঁওড় ও চরাঞ্চল, নারীশিক্ষায় অনগ্রসর এলাকা, সামাজিকভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠী, বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের বিবেচনায় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত যে কোনো ক্ষেত্র।
এমপিও প্রদানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শর্তপূরণ করলেই বেতন-ভাতা দেওয়া হবে তা নয়, সরকারের সামর্থ্য থাকতে হবে।