কক্সবাজারের একটি মাদরাসায় জাতীয় শোক দিবসে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করায় মাদরাসার এক শিক্ষক এক ছাত্রকে মারধর করেন এবং তার মোবাইল ফোন ভেঙে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র সেদিন মাদরাসায় মাইক বাজানোর দায়িত্ব পালন করছিল। উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ফাঁড়ির বিল এম কিউ আলিম মাদরাসায় গত বুধবার ওই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান গতকাল শুক্রবার রাতে বলেন, ‘মাদরাসার এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। আমি মাত্র আজই (শুক্রবার) শুনেছি। ইতিমধ্যে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দিয়েছি।’
এলাকাবাসী জানায়, মাদরাসাটিতে ওই দিন সকালে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মাইক নেওয়া হয়। মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হলে একই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ জুলু তাতে বাধা দেন। কিছুক্ষণ পর পুনরায় মাইকে জাতির জনকের ভাষণ বাজানো হলে ওই শিক্ষক গিয়ে দায়িত্বে থাকা ছাত্রকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই ছেলের হাতে থাকা মোবাইল ফোন সেট নিয়ে আছড়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ মঞ্জুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ শনিবার মাদরাসা পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলানা জমির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমার মাদরাসার একজন শিক্ষক ওই দিন মাইক বাজানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। শিক্ষক ঘটনার জন্য অবশ্য অনুতপ্ত।’ অধ্যক্ষ বলেন, তবে ঘটনা সম্পর্কে ওই শিক্ষক তাঁকে (অধ্যক্ষ) ভিন্ন বিবরণ দিয়েছেন। শিক্ষক দাবি করেন, ওই দিন মাইকে দেশাত্মবোধক গান বাজানো হলে তিনি বরং জাতির জনকের ভাষণ প্রচার করতে বলেছিলেন। তা না করায় রাগে তিনি মারধর করেন।
শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ জুলুর মোবাইল ফোন নম্বরে কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।