পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিজ বাড়ির পুকুরে দুপুরে একা গোসল করতে গিয়ে স্থানীয় এক যুবকের লালসার শিকার হন নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী। এ কারণে ওই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাসুম খান নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার চরণী পত্তাশী গ্রামের পত্তাশী হাছানিয়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী দুপুরবেলা নিজ বাড়িতে গোসল করে কাপড় বদলানোর সময় একই গ্রামের সাকাওয়াত খানের ছেলে মাসুম খান (২৫) একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই ছাত্রীর মা বাসায় আসলে টের পেয়ে লম্পট মাসুম দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত লম্পট মাসুমকে আসামি করে শুক্রবার (৬ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে লোকলজ্জা আর মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি চাপা রাখে পরিবারের সদস্যরা।
রোববার বিকালে সরেজমিনে গেলে ওই ছাত্রীর মা পিয়ারা বেগম জানান, ঘটনার দিন আমি বাড়ির পাশের মাঠে গরু আনতে যাই। এ সময় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে আমার মেয়েকে লম্পট মাসুম ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি বাড়ি ঢুকে মেয়ের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে মাসুম আমার মেয়েকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমি এখন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি লম্পট মাসুমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, ওই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।