মাদরাসাগুলোতে কারিগরি ট্রেড খোলা হচ্ছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতে জীবনমুখী কাজে নিযুক্ত হতে পারে সে জন্য মাদরাসার শিক্ষাক্রম পরিমার্জনে কাজ করেছে সরকার। সাধারণ মাদরাসাগুলোতে কারিগরি বিভিন্ন ট্রেড খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন আজ সচিবালয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত শিক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে বর্তমান সরকারের নানা কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মূল ধারার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে ইসলামিক স্টাডিজ বা আরবি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সের সমমান দেয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিতে সরকার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা নীতির আলোকে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ঝরে পরা রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গৃহকর্মীসহ সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির শিশুরা যাতে মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না থাকে সরকার সেদিকে নজর রাখছে সরকার।

শিক্ষা খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান, কারিগরি ক্ষেত্রে ভর্তির হার বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ শতাংশ এবং আগামী ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার ওপর সরকার জোর দিচ্ছে বলে জানান উপমন্ত্রী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকার জেনেভা ক্যাম্পের মতো কয়েকটি ভিন্ন দেশের আটকে পড়া নাগরিকদের শিক্ষার জন্য কার্যক্রম চালাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার দায়িত্ব নেয়া সরকারের পক্ষে কষ্টকর বলেও জানান তিনি। উপমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে এক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033848285675049