ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শামীম হোসেন (১৮) নামে এক যুকককে কাদাপানিতে মাথা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ এপ্রিল) উপজেলার নেকমরদ পারকুন্ডা দিঘিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ ঘটনায় হাসান আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শামীম পারকুন্ডা দিঘিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার নিয়মিত ছাত্র ছিল। অপরদিকে আসামি হাসান একই গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ চোখা মিয়ার ছেলে।
রাণীশংকৈল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীমের কাছে হাসানের টাকা চুরির বক্তব্যের একটি অডিও রেকর্ড ছিল। গতকাল বিকালে হাসান শামীমকে কম দামে মেমরি কার্ড বিক্রি ও ওই রেকর্ড হস্তান্তরের জন্য টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে
হাসান পরিমাণের চেয়ে কম টাকা দিতে চাইলে এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। এতে হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে পাশের ধান ক্ষেতের কাদাপানিতে কৌশনে জোরপূর্বক মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে পার্শ্ববর্তী সেচ পাম্প থেকে কোদাল নিয়ে এসে ভুট্টা ক্ষেতে গর্ত করে লাশ পুতে ফেলে।
এদিকে বিকাল থেকে শামীমকে খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। এমন খবরে বিকালে একসঙ্গে হাসান ও শামীমকে ভুট্টা ক্ষেতের দিকে যেতে দেখা স্থানীয়রা হাসানকে আটক করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে মাটি খুঁড়ে শামীমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামি ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আসামি হত্যার ঘটনা স্বীকার করলে তাকে হত্যা মামলায় জেলহাজতে ও লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
রাণীশংকৈল থানা পলিশ পরিদর্শক তদন্ত খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।