মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ১১ বছরের এক মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার ঐ ছাত্রীর বাবা শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামি মো. ইমন ঐ এলাকার সামাদ শেখের ছেলে। উপজেলার বালাসুরের বউ বাজারে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিন মাস আগে একই এলাকার বাসিন্দা তার চাচাত ভাই সামাদ শেখের ছেলে শ্রীনগর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. ইমন শেখ (২২) মেয়েটিকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার মাসখানেক পরে হঠাৎ মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার মাকে সব খুলে বলে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে মেয়ের প্রাথমিক পরীক্ষা করানোর পরে জানা যায়, সে প্রায় তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। মান-সম্মানের ভয়ে মেয়ের বাবা প্রথমে ইমনের পরিবারকে বিষয়টি জানান। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বালসুর বাজারের ব্যবসায়ী হাসু মোল্লা ও আলমগীর মোল্লা মেয়ের বাবাকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন এবং ১০ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেন। এর পরে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে মেয়ের গর্ভপাত শেষে প্রায় ২০ দিন অতিবাহিত হলেও সমঝোতার ব্যাপারে হাসু মোল্লা ও আলমগীর মোল্লা কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে উপায় না দেখে মেয়ের বাবা স্থানীয় মেম্বার হারুন বেপারীকে ঘটনাটি জানান। ইমনের বাবা সামাদ শেখ হাসু মোল্লার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হওয়ায় প্রভাবশালী হাসু মোল্লার সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল। তবে হাসু মোল্লা ও আলমগীর মোল্লা তাদের বিরুদ্ধে মেয়ের বাবার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শ্রীনগর থানার ওসি মো. ইউনুচ আলী বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামি মো. ইমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।