বগুড়ার শাজাহানপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় রবিন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে মারপিট করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিন উপজেলার কামারপাড়া উত্তরপাড়ার আয়েজ আলীর ছেলে। সে কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় রবিনের মা সাহেরা বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিনের বড় ভাই আল আমিন জানান, শনিবার সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে তার ছোট ভাই রবিন বাড়ির পাশে জনৈক মজনুর দোকানে ডিম আনতে যায়। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে চকচোপীনগর গ্রামের শান্ত (২২), বশির (২১) ও সাব্বির (১৮) সহ ৮-১০ জন রবিনকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ধারালো চাকু বের করে হত্যার উদ্যেশ্যে আঘাতের চেষ্টা করলে দোকানদার মজনু মিয়া এগিয়ে এসে রবিনকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আল আমিন আরো জানান, ৮-১০ দিন আগে সন্ধ্যার দিকে কামারপাড়া সরকারপাড়ার এক মাদরাসাছাত্রীকে রাস্তার ওপর সাব্বির নামের ছেলেটি জড়িয়ে ধরে এবং তার ৭-৮ জন সহযোগী পাহারা দেয়। ওই সময় ছোটভাই রবিন নিষেধ করলে তারা রবিনকে এক সপ্তাহের মধ্যে মারপিটের হুমকি দেয়। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধায় রবিনকে মারপিট করা হয়। শুধু তাই নয় এই গ্রুপ এলাকায় ইভটিজিংসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পায় না।
সাব্বির মারপিটের কথা অস্বীকার করে বলেন, কাউকে মারপিট করা হয়নি। কারা মারপিট করেছে তা তার জানা নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান জানান, উঠতি বয়সের ছেলেরা দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায় আর বিভিন্ন অপকর্ম করে। এমন একাধিক ঘটনা রয়েছে। দিন দিন এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।