দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতে উপজেলার খোচনা গ্রামের কবিরাজপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ধর্ষক জাকির হোসেন (২২) এবং তার দুই সহযোগী মামুন হোসেন (১৯) ও সোহেল রানাকে (২০) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
ধর্ষক জাকির হোসেন খোচনা গ্রামের খয়ের উদ্দিন শাহ পাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে। মামুন হোসেন একই পাড়ার মৃত একরামুল হোসেনের ছেলে এবং সোহেল রানা খোচনা গ্রামের বানুপাড়ার মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গেল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে আসে মেয়েটি। এরপর খাটের ওপর শুয়ে পড়ে। এ সময় মেয়েটির বাবা চায়ের দোকানে ও মা বড় বোনের বাড়িতে ছিল। এই সুযোগে আগে থেকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা জাকির হোসেন মেয়েটির মুখ চেপে ও ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে ধর্ষণ করে। জাকিরকে এই কাজে সহযোগিতা করে মামুন ও রানা নামের দুই বন্ধু। পরে ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষক জাকির ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে।
খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা ইউপি সদস্য মো. শাহিন আলমকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসেন। ইউপি সদস্য বিস্তারিত ঘটনা শুনে চিরিরবন্দর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ধর্ষক জাকির হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে থানায় নিয়ে যায়।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।