শেরপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার মূল আসামি পলাশ পোদ্দার (৩৫) পলাতক রয়েছেন। সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আনসার আলী একথা জানান। আটক দুজন হলো, সোহানুর রহমান (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮)।
তিনি জানান, রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুর মহল্লার একটি বাসায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিন জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মারা গেছেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। তার মা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে সেবিকা হিসেবে কাজ করেন। তিনি মেয়েকে নিয়ে শেরপুর শহরের গৃদানারায়নপুর মহল্লায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। একই বাসার দোতলায় সোহানুর রহমান ও মৌসুমি আক্তার থাকেন। তারা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রীর মা কাজের উদ্দেশে কর্মস্থলে যান। এসময় সোহানুর ও মৌসুমির সহযোগিতায় পলাশ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি ছাত্রীর বাসায় ঢুকে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর সে পালিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার এলাকাবাসী মৌসুমি আক্তারকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সোহানুর রহমানকেও আটক করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনসার আলী বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মামলা নিয়েছি। এরইমধ্যে দুই জনকে আটক করেছি। মূল আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।