পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নজিবপুর গ্রামে মাদরাসাছাত্রীকে (১১) যৌন হয়রানি ও গভীর রাতে সালিশে দশ ঘা বেত্রাঘাত দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত নিপীড়নকারী দুই সন্তানের জনক কামাল বেপারী ও সালিশদারদের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এ ঘটনায় কামাল বেপারীকে গ্রেফতার করলেও পলাতক রয়েছে সালিশদার ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান ও তার সহযোগীরা।
এর আগে, গত সোমবার বিকালে নজিবপুর গ্রামের প্রতিবেশী কালাম বেপারীর বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় বাসায় স্ত্রীর অনুপস্থিতে জোরপূর্বক যৌন হয়রানির চেষ্টা করে কালাম। পরে ছাত্রীটি এ ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে তারা ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহানের কাছে নালিশ দেন। এ ঘটনার ফয়সালা দিতেই রাতের আঁধারে ইউপি সদস্য তার বাড়ির বৈঠকখানায় সালিশের আয়োজন করে।
সালিশে ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান, ফুল গাজী, তোতা সরদার, কাসেম ফকির, ব্যবসায়ী সুমন, শাহালম মাঝিসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সালিশদাররা সালিশে কালামকে এ ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত করে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও দশ ঘা বেত্রাঘাত করেন।
তবে মাদরাসাছাত্রীর মা এ বিচারে খুশি হননি। সালিস বৈঠকের বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে পুলিশ বুধবার কালামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মাদরাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই ছাত্রীর পিতা মামলা করেছে। এ মামলার প্রধান আসামি কালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।