পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নিয়ম না থাকলেও এতিমদের সরকারি খাবার গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজিপুর মৈশানি হারুন অর রশিদ মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আরেক অফিস সহকারী শেখ নাবীব আহম্মেদকে মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন শেখ নাবীব আহম্মেদ।
অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন গাজী কাউখালী উপজেলার আমড়াঝুড়ি ইউনিয়নের জামাতে ইসলামির সভাপতি।
জিডি সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার ছাত্রাবাসে সরকারিভাবে খাবার দেয়া হয়। নিয়ম না থাকলেও মাদরাসায় কর্মরত অফিস সহকারীসহ কয়েকজন সেই খাবারের দুপুরে নিজেদের কাজ চালান। সম্প্রতি এ নিয়ে মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতবিরোধ দেখা দেয়।
গত বুধবার যথারীতি কয়েক জন অফিস সহকারী এতিমদের খাবার খেয়ে ফেললে খাবার সংকট দেখা দেয়। এ বিষয়ে মাদরাসার শিক্ষিকা কবিতা রায় অফিস সহকারী নাবীব আহম্মেদকে জানালে নাবীব ছাত্রদের খাবার খেয়ে ফেলার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপর অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন গাজী মাদরাসা ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে নাবীবকে মৈশানী ব্রিজের ওপর দাঁড় করিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
এর কিছুক্ষণ পর মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. মজিবুর রহমান শরীফ এসে আনোয়ারের সঙ্গে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে তারা নাবীবকে মারধর করে ও ভবিষ্যতে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন স্থানীয়রা নাবীবকে উদ্ধার করে বাড়ি দিয়ে আসে। পরে রাতে নিরাপত্তা চেয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারী ও জামাতে ইসলামির নেতা মো. আনোয়ার হোসেন গাজী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমি যে খাবারটি খেয়েছি সেটা লিল্লাহ বের্ডিয়ের এতিমদের খাবার এবং এ খাবার খাওয়ার অনুমতি আমার রয়েছে।’
এ বিষয়ে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নাজমুল আহসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমাদের মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি আগামী সোমবার ওই দুই অফিস সহকারী ও গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তার কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।’