এমপিওভুক্ত মাদরাসার এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ হলেও কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের দায়িত্ব এখনো রয়েছে কমিটির হাতে। কমিটির মাধ্যমে হওয়া এসব পদে নিয়োগ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘুষের বিনিময়ে জালিয়াতি বা লুকোচুরি করে এসব নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। সম্প্রতি একটি মাদরাসায় ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয় নজরে আসে।
এ ধরণের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কমিটির মাধ্যমে হওয়া নিয়োগগুলোতে নজরদারি করবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন থেকে মাদরাসার নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার পর বিস্তারিতভাবে সব তথ্য দিয়ে ডিজির প্রতিনিধিকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে অধিদপ্তরে। নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। যা নথি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে অধিদপ্তরে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়টি নজরে আসার কিছুদিন পরই ডিজির প্রতিনিধিদের নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্যসহ প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হল।
জানা গেছে, ডিজির প্রতিনিধিদের প্রতিবেদন পাঠাতে একটি নির্ধারিত ছক সরবরাহ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ছক অনুসারে তথ্য পূরণ করে নিয়োগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার তিন দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে সব ডিজির প্রতিনিধিদের।
অধিদপ্তর থেকে চাওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে আছে, প্রতিষ্ঠানের নাম, সভাপতির নাম ও মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থার প্রতিনিধির নাম ও মোবাইল নম্বর, চাহিদাকৃত পদের নাম ও সংখ্যা, নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ও স্থান, নিয়োগ পরীক্ষার বিস্তারিত নম্বরসহ টেবুলেশন শিট, নিয়োগ কমিটির সুপারিশ করা তাদের নাম ও সংখ্যা, নিয়োগের সুপারিশ করা প্রার্থীর নাম ও সংখ্যা, বাতিলকৃত প্রার্থীর বা পদের নাম ও সংখ্যার সাথে অন্যান্য কোন তথ্য থাকলে তা উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে ডিজির প্রতিনিধিদের। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
গত মাসে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর ও চিঠি জাল করে একটি মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসে। নিয়োগের কাম্য যোগ্যতা না থাকলেও ভোলার চর ফ্যাশন উপজেলার মিয়াজুন ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন শরীফ মো. মনিরুল ইসলাম। তাকে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের অবৈধভাবে উপাধ্যক্ষ পাদে বসাতে ডিজির প্রতিনিধির চিঠি ও স্বাক্ষর জাল করা হয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সব কুকর্ম ফাঁস হওয়ায় মাদরাসাটির উপাধ্যক্ষ শরীফ মো. মনিরুল ইসলামের এমপিও বন্ধ করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এর কিছুদিন পরই ডিজির প্রতিনিধিদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সহ প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হল।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।