ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে মাদরাসা ও এতিমখানার নামে প্রায় দুই কোটি টাকা অনুদান তুলে তা আত্মসাতের মাধ্যমে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
উপজেলার ডোবরা আল গফুরিয়া হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল হান্নান মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন জনৈক ওবায়েদ বিন নাসেরের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাত নম্বর আমলি আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী আব্দুল হান্নান মিয়া অভিযোগ করেন, ডোবরা আল গফুরিয়া হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সঙ্গে ওবায়েদ বিন নাসেরের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি টাকা তুলে আত্মসাৎ করছেন। এ ছাড়া ডোবরা নাছেরিয়া সিদ্দিকীয়া দ্বীনিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, বারাইজুরি নাছেরিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, ডোবরা হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, মাঝিকান্দা নাছেরিয়া ওবায়দিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, মিটাইন নাছেরিয়া ওবায়দিয়া সুন্নীয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের নামে রসিদ ছাপিয়ে অনুদান তুলছেন।
মামলার বাদী আব্দুল হান্নান মিয়া আরো বলেন, ‘একটি ব্যাংক হিসাবে দেখা গেছে, মাত্র দুই বছরেই সেখানে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়েছে। তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষদের সরলতার সুযোগে অনুদানের নামে টাকা তুলে ফরিদপুর ও ডোবরায় নিজস্ব বহুতল ভবন করছেন।’
এ ব্যাপারে ওবায়েদ বিন নাসেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ডোবরায় একটি খানকা শরিফ নির্মাণের জন্য আমার ভক্তরা বিভিন্ন সময়ে অনুদান দিয়েছেন। আর আশাঈ নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুরে জমি কিনে একটি পাঁচতলা ভবন করছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই রাকিবুদ্দিন জনি বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওবায়েদ বিন নাসেরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’