জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মাদরাসার নিয়োগে বোর্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি করে জারি করা আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। এখন আগের নিয়মেই অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা এই দায়িত্ব পালন করবেন। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, মাদরাসার নিয়োগে জেলার প্রশাসক মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনীত করে বা মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে জারি করা আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। ১৯ মার্চ তারিখে বাতিলের আদেশটি জারি করা হলেও রোববার (২২ মার্চ) তা প্রকাশ করা হয়। আদেশটি বাতিল হওয়ায় এখন থেকে আগের নিয়মে অর্থাৎ অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরাই মাদরাসার নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধির দায়িত্ব পাবেন।
বর্তমানে এন্ট্রি লেভেলে (প্রভাষক, মৌলভী ইত্যাদি) নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব এনটিআরসিএর। আর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপারসহ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা পরিচালনা পর্ষদের হাতে। পরিচালনা পর্ষদের হাতে থাকা নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি নির্বাচন দেয়া হয়। এসব নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্ব স্ব জেলার দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে জেলার প্রশাসক মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনীত হবেন বা মনোনয়ন দিবেন। এ আদেশ জারির পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষক নেতারা। ১৯ মার্চ তারিখে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে গত ১৮ ফেব্রুয়ারির আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। তাই, ফের অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা এই দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ বিস্তর। টাকার বিনিময়ে তারা অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসিরা হবেন মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, শিক্ষকদের অসন্তোষ