নেত্রকোনার পূর্বধলায় হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার মালামাল চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ২০ জানুয়ারি নেত্রকোণা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন মাদরাসার জমিদাতা উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুস সবুর মহসিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্বধলার হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসাটি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি মাদরাসার ৪র্থ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নতুন ভবন নির্মাণের আগে তিনটি পুরাতন বিল্ডিংয়ের একটি হাফ বিল্ডিং, অপর একটি হাফ বিল্ডিংয়ের আংশিক ও একটি টিনশেড ঘর ভেঙ্গে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ইট, টিন, রড, সিমেন্টের পিলার, দরজা জানালাসহ প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার মালামাল হ্যান্ডট্রলি দিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি সাধন করে।
এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মো. আবদুস সবুর ওরফে মহসিন বাদী হয়ে নেত্রকোণা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম (৪৮), শরীরচর্চা শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান ওরফে নাইম (৫২) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আবুল কাশেম খানের (৪০) বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম উপেক্ষা করে ৪র্থ কনিষ্ঠ শিক্ষক থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নাশকতা মামলায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত জেলহাজতেও ছিলেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঘর ভাঙা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে ইট, টিন, সিমেন্টের পিলার ও দরজা-জানালা কিছুই সরানো হয়নি।