ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সহযোগিতায় বগুড়ার সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসার তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে টিসি নেয়ার আবেদন করেছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত তিন শিক্ষক হলেন মাদরাসার আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম শামছুল আলম, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল ও প্রভাষক হোসেন ফেরদৌস। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান।
জানা গেছে, মাসিক পরীক্ষার নামে রসিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, ক্লাসে অনুপস্থিতির জন্য টাকা আদায়, প্রাইভেট না পড়ার কারণে পরীক্ষায় ফেল করানো, ব্যক্তিগত কোচিংয়ে ভর্তি হতে বাধ্য করা—এসব অভিযোগ এনে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংখ্যা ৯ শতাধিক। আলিমের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক পরীক্ষার নামে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়। মাসিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় ২০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়। ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণেও একইভাবে টাকা নেয়া হয়। তাঁদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করানো হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ওই তিন শিক্ষকের অত্যাচারে ১৪ জন শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে টিসি নেয়ার আবেদন করেছে। তবে তাদের এখনো টিসি দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম শামছুল আলম বলেন, ‘কিছু শিক্ষকের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। যারা টিসির জন্য আবেদন করেছিল, তাদের বোঝানো হয়েছে। সে জন্য টিসি আর দেয়া হয়নি।