মাদরাসাশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, অাটক ১

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি |

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় এক মাদরাসাশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর এক চাচাত ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

 মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার আজিমপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ক্বারি মো. আওলাদ হোসেন (৫৫) আজিমপুরা এলাকার মৃত আব্দুর গফুর শেখের ছেলে। তিনি চুরাইন আনোয়ারুল উলম রহমানিয়া মাদ্রাসার ক্বেরাত বিভাগের শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি একটি ওষুধের দোকান চালাতেন।

আওলাদের লাশটি রাতেই বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ আগসট) ভোরে আওলাদের চাচাত ভাই তাইজুল শেখকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক তাইজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

আওলাদের স্ত্রী সাহিদা বেগম পুলিশকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাওয়া শেষ করে ঘরে বসে হিসাব-নিকাশ করছিলেন আওলাদ। ৯টার দিকে চাচাতো ভাই তাইজুল মোবাইল করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই আওলাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

সাহিদা বেগম স্বামীর খোঁজে তাইজুলের বাড়ির দিকে যান। এ সময় তাইজুল বাড়ির পাশের পুকুরের ঘাটলায় রক্ত পরিষ্কার করছিলেন। এ ছাড়া ঘাটলায় রক্তের চিহ্ন দেখতে পান সাহিদা।

এ সময় তাইজুলকে আওলাদ হোসেনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। কিন্তু সাহিদার সন্দেহ হয়। পরে তিনি লোকজনকে ডাকেন। লোকজন তাইজুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তাইজুলের বাড়ির বিছানা-বালিশে রক্ত দেখতে পান লোকজন আর মরদেহটি পুকুরের কচুরিপানার ভিতরে পাওয়া যায়।

সাহিদা বেগম আরো বলেন, ‘তাইজুল আমার স্বামীর ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি ও সুনাম মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই বাড়িতে ডেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে এবং পরে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035991668701172