বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান সৃষ্টি, আহরণ ও বিতরণ কেন্দ্র। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে নিজেদের সৎ, যোগ্য, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু বলেছিলেন, একটি দেশ ভালো হয়, যদি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যে নৈতিক চরিত্রের পতন শুরু হয়েছে, তা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। শিক্ষকরা সুশিক্ষা, নৈতিকতা, সততা, নিষ্ঠার শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তুলবেন—এটাই জাতির প্রত্যাশা। কিন্তু আজ শিক্ষকসমাজে যেন ঘুণ ধরেছে। আজ ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে ভক্তি-স্নেহের সম্পর্ক নেই বললেই চলে।
অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে সন্তান ভর্তি করাতে হলে অভিভাবকের নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসিক আয় থাকতে হয়। সরকারের উচিত ব্যবসায়ী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে সরকারকে ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষকদের মানবিক হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, আবৃত্তি, বই পড়া, সংস্কৃতির চর্চা এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো হলে আলোকিত মানুষ তৈরি হবে। এতে দেশও উন্নত হবে।
লেখক: আরিফ ইকবাল নূর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।