আইন ও শালিস কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীরের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে মিন্নির বাড়িতে যায়।
বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) একটি প্রতিনিধি দল বরগুনায় পৌঁছেছে।
আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি শনিবার বিকেলে মিন্নির বাড়িতে যায়। সেখানে পৌঁছে মিন্নির বাবা ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে তাদেরকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসব তথ্য জানান আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর। তিনি বলেন, মিন্নির রিমান্ডের দিন তার পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি। এ ঘটনায় আসক উদ্বিগ্ন ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা মিন্নির বাড়িতে গিয়েছি এবং শুনতে পেয়েছি তারা একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন মিন্নির পক্ষে। আমরা সেই আইনজীবীর সাথেও কথা বলেছি তার সাথে আমরাও তাকে আইনী সহায়তা প্রদান করবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা দু'জন আইনজীবী নিয়ে এসেছিলাম। যেহেতু বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল বারী আসলামকে মিন্নিকে আইনগত সহায়তা দেয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাই আমরা শুধু তাকে সহযোগিতা করবো।
আইনগতভাবে মিন্নির পরিবারের পাশে আমরা থাকবো। কারণ প্রতিটি মানুষেরই আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যোগ করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের থামাতে চেয়েও পারেননি। গুরুতর আহতাবস্থায় রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।