মুজিববর্ষে বাদপড়া ৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ বা মুজিব বর্ষে বাদপড়া ৪ হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। স্কুলগুলো সরকারিকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা হলেও দেশে আরো ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সরকারিকরণ থেকে বঞ্চিত।

এগুলোর মধ্যে রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪টি, অস্থায়ী রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৮৬টি, নন রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৩৩২টি ও মাদার স্কুলের নামে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৫০৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবিতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে টানা ১৮ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করা হয়। এক পর্যায়ে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্ররি কার্যালয় থেকে তালিকা বর্হিভূত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের তালিকা চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা সঠিক তথ্য না দেয়ায় ওই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ থেকে বাদপড়ে যায়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবিতে একই বছর ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে এবং ৫ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ জুন থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলকারী শিক্ষকরা। ওইসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিসের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয় বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। মুজিববর্ষে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের দাবি জানান হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষকরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আজ থেকে বাংলাদেশে আর কোন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057029724121094