মুজিববর্ষেই অ্যাডহক নিয়োগ দাবি ময়মনসিংহের শিক্ষকদের

মতিউল আলম, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

মুজিববর্ষের মধ্যেই সব শিক্ষক-কর্মচারীদের অ্যাডহক নিয়োগ ও পদ সৃজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের নেতারা। এ দাবিতে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তিন জেলার শিক্ষকরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষক নেতারা।

এর আগে গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে বরিশাল, ঝালকাঠী ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্রগ্রাম ও খাগড়াছড়ীর জেলা প্রশাসক এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর, পাবনা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষকরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি  সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও 'নো বিসিএস নো ক্যাডার' ব্যানার বানিয়ে মিছিল করা কতিপয় প্রতিহিংসাপরায়ন কর্মকর্তাদের আত্তীকরণের কাজের দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের পদ সৃজন ও আত্তীকরণের কাজ আটকে রয়েছে। এরা ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় কৌশলে শিক্ষাখাতে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আটকে রেখেছে। এছাড়াও পদসৃজনের কাজে তাদের অযাচিত ‘নোট’ ও ‘মন্তব্য’ করার কারণে অসংখ্য শিক্ষকের সরকারিকরণের পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ধরে আটকে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা--সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ সরকারিকরণ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকা প্রতিহিংসাপরায়ন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রেই সরকারিকৃত তিনশতাধিক কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক কেউই সরকারিকরণের সুফল পাচ্ছেন না।  এখনও পর্যন্ত একজন  শিক্ষকেরও পদসৃজন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী  সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে শূন্য হাতে অবসরে চলে গিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।

স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণের বাইরে থেকে গেলে তাদের পক্ষে বয়সের কারণে নতুন চাকরিতে যোগদান করা এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকা তো দূরের কথা পরিবার,পরিজন ও সমাজের কাছে মুখ দেখানোই দায় হয়ে দাঁড়াবে। একইসাথে সরকারিকৃত কলেজের সব শিক্ষক কর্মচারীদের মুজিববর্ষের মধ্যই পদসৃজন ও অ্যাডহক নিয়োগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষক নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের বিভাগীয় ও জেলার নেতারা স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আশিস কুমার সাহা, বিভাগীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ খাইরুল আনাম ও বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জেলার সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বাবু সুশান্ত কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম, বিভাগীয় কার্যকরী সভাপতি মকবুল হোসেন, বিভাগীয় নেতা বাবু সঞ্জিত কুমার সরকার, মুজিবুল রহমান, হামিদুল হক খান, একে এম আজিজুর  রহমান, মোতালেব হোসেন, সাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027079582214355