মুজিববর্ষের মধ্যেই সরকারিকৃত সব শিক্ষক-কর্মচারিদের অ্যাডহক নিয়োগ ও পদসৃজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের চট্রগ্রাম শাখার নেতারা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক নেতারা।
এ সময় নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কতিপয় ভিন্ন রাজনৈতিক মতের এবং 'নো বিসিএস নো ক্যাডার' ব্যানার বানিয়ে মিছিল করা প্রতিহিংসাপরায়ণ কর্মকর্তাদেরই আত্তীকরণের কাজের দায়িত্ব দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের পদসৃজন ও আত্তীকরণের কাজ আটকে আছে। এরা ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ায় কৌশলে শিক্ষাখাতে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আটকে রেখেছে। এছাড়াও পদসৃজনের কাজে তাদের অযাচিত ‘নোট’ ও ‘মন্তব্য’ করার কারণে অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারীর সরকারিকরণের পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ধরে আটকে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা-সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ সরকারিকরণ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকরা। কলেজ সরকারি হলেও সরকারি কোনও সুবিধা কেউই পাননা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকা প্রতিহিংসাপরায়ণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রেই সরকারিকৃত তিনশতাধিক কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক কেউই সরকারিকরণের সুফল পাচ্ছেন না। এখনও পর্যন্ত একজন শিক্ষকেরও পদসৃজন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারি সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে শূন্য হাতে অবসরে চলে গিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণের বাইরে থেকে গেলে তাদের পক্ষে বয়সের কারণে নতুন চাকরিতে যোগদান করা এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকা তো দূরের কথা পরিবার, পরিজন ও সমাজের কাছে মুখ দেখানোই দায় হয়ে দাঁড়াবে। একইসাথে সরকারিকৃত কলেজের সব শিক্ষক কর্মচারিদের মুজিববর্ষের মধ্যই পদসৃজন ও অ্যাডহক নিয়োগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষক নেতারা।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বাসকশিপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক সামছুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক মোছলেহ উদ্দীন সিরাজী, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবু শংকর বোস, কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক মিয়া খান চৌধুরী, বিভাগীয় সি.সহ-সভাপতি মো.নাছির উদ্দীন, বিভাগীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ এয়াছিন, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, মো.ইয়াছির আরাফাত ও জাহেদুল ইসলাম।