কুমিল্লার মুরাদনগরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়, প্রবল বর্ষণে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি মসজিদসহ শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়াও গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক এলাকায় তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের ঘরে থাকা অপরিহার্য হলেও ঘর হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর বসবাস করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখীর ঝড়ে মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা, রঘুরামপুর, করিমপুর, মোচাগড়া, যাত্রাপুর, ভবানীপুর, নবীপুর, রাজনগর, বাঙ্গরা বজার থানার চন্দনাইল, সাহেদাগোপ, ধনপতিখোলা, রামচন্দ্রপুর, পীর কাশীমপুর, কাঘাতুয়া, সোনারামপুর, পিপড়িয়া কান্দা, চর মির্জাপুর গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকান পাঠ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ঝড়ে চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়, পিপড়িয়াকান্দা ডা. মোহন মিয়া কেজি স্কুল ও রাজনগর জামে মসিজিদের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
কাঘাতুয়া গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার মেয়ে সোহাগী আক্তার বলেন, বাবার রেখে যাওয়া একমাত্র বসতঘরই ছিল আমার মাথা গোঁজার ঠাই। ঝড়ে সেই শেষ সম্বলটিও কেড়ে নিয়ে গেল। আমি এখন স্বামী ও সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছি।
চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বলেন, ঝড়ে চন্দনাইল উচ্চ বিদ্যালয়, পিপড়িয়াকান্দা ডা. মোহন মিয়া কেজি স্কুলের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও চন্দনাইল বাজরের ৫টি দোকানসহ আমার ইউনিয়নে প্রায় ১৯টি বসতঘর পড়ে গেছে। ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কামাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খান বলেন, বেশ কয়েকটি দোকানের টিনের চালা উড়ে গেছে। তাছাড়াও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ কালাম আজাদ বলেন, আমার ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি দোকান ও ১০/১২টি ঘর পড়ে গেছে। গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। বজ্রপাতের সময় কেউ যাতে বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে সরকারের তরফ থেকে সহায়তা করা হবে।