ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৫০ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পুলিশ কনস্টেবলসহ দু’জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার (৮ এপ্রিল) এ দু’জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়।
আক্রান্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল নাজমুল হোসেনকে (২১) নগরীর এস কে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় ৪৩৪ সদস্যসহ মুক্তাগাছা এপিবিএন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। পুলিশের ওই কনস্টেবল গত মাসের শেষ দিকে ঢাকার (স্পেশাল পুলিশ ব্যাটালিয়ন) এসপিবিএন থেকে বদলি হয়ে ময়মনসিংহ এপিবিএন এ যোগদান করে।
এদিকে আরেক আক্রান্ত রোগী রেজাউর রহমান (৩৪) জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাাসিস্ট। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায়।
জানা যায়, বুধবার ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাবে ৫০ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে এ দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় ৪৩৪ সদস্যসহ মুক্তাগাছা এপিবিএন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. মশিউল আলম জানান, এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল পুলিশ সদস্য নগরীর এস কে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে এবং ভালো আছেন। গত ২১ মার্চ জয়পুর হাট থেকে মুক্তাগাছা এপিবিএন এ যোগ দেন এ কনস্টেবল।
এপিবিএন মুক্তাগাছার অধিনায়ক পুলিশ সুপার নজরুল হোসেন জানান, এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল তাকে বলেছেন যে তিনি ভালো আছেন। তবে কেন তার করোনা পজিটিভ এসেছে তা বুঝতে পারছি না। পুনরায় তার রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে পুলিশ সুপার নজরুল হোসেন জানান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত ফার্মাসিস্ট রেজাউর রহমান হাসপাতালের অবাসিক এলাকায় থাকতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামের সর্দি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ধরা পড়ে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিকে জামালপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান আইসিডিডিআরবির কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।