যবিপ্রবির পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ স্থগিতের আদেশ বহাল

যশোর প্রতিনিধি |

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিত আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রীমকোর্ট। রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ এই রায় দেন।

১৪ মে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বহিষ্করাদেশের ওপর ছয় মাসের স্থগিত আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপীল করেন যবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। ১৭ জুন চেম্বার জজ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে সুপ্রীমকোর্টে শুনানির জন্য ৩০ জুন সময় নির্ধারণ করেন। আর রবিবার শুনানি শেষে হাইকোর্টের আগের রায় বহাল রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিটকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান শুনানিতে অংশ নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিট পিটিশনকারী আজীবন বহিষ্কৃত ফিশারিজ এ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান।

তিনি জানান, যবিপ্রবি থেকে তিনজন আজীবনসহ আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এতে সংক্ষুব্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীর পক্ষে এরিন সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১৪ মে শুনানি শেষে হুমায়রা আজমিরা এরিন, একরামুল কবির দ্বীপ, রোকনুজ্জামান, মোতাসসিন বিল্লাহ ও হারুন-অর-রশিদের বহিষ্করাদেশের ওপর ছয় মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপীল করেন যবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। রবিবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন। এই রায়ের ফলে ওই শিক্ষার্থীদের যবিপ্রবিতে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার আর কোন বাধা থাকছে না।

২০ এপ্রিল যবিপ্রবি থেকে আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে প্রশাসন। এদের মধ্যে হুমায়রা আজমিরা এরিন, একরামুল কবির দ্বীপ ও রোকনুজ্জামানকে আজীবন ও আসিফ আল মাহমুদ, মোতাসসিন বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান শাকিব, নিশাত তাসনীম ও হারুন অর রশীদকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আপত্তিকরভাবে উপস্থাপন, ক্যাম্পাসে থাকা নৌকা প্রতীক ভেঙ্গে ফেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্রাতিরিক্ত ল্যাব রিটেক ফি আদায়সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে আন্দোলন করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056219100952148