যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের এ, বি এবং সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ ৮টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমদিনে দুই পরীক্ষার্থী ও কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার শুধুমাত্র যবিপ্রবি ক্যাম্পাস কেন্দ্রসমূহে ডি, ই এবং এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় সরকারি এমএম কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্লুটুথ ডিভাইস পাওয়ায় মো. আমানুর রহমান নামের এক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ এবং পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র সংবলিত চিরকুট পাওয়ায় ফাতেমা তুজ জোহরা নামের এক ছাত্রীকে যশোর সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়।
যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনে দুটি স্মার্টফোন নিয়ে কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর কেন্দ্রসমূহের নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
সবকটি কেন্দ্রেই ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে যবিপ্রবিতে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে এ ইউনিটে ২৭০টি আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ৪৩২ জন, বি ইউনিটে ১৮০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৭২ জন এবং সি ইউনিটে ২৩৫টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৬৪৩ জন আবেদন করেন। অর্থাৎ তিনটি ইউনিটে মোট ৩৭ হাজার ১৪৭ জন ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেন। ২৩ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯:০০-১০:৩০ পর্যন্ত ডি ইউনিট, বেলা ১১.০০-১২:৩০ পর্যন্ত ই ইউনিট এবং ৩:৩০-৫.০০ পর্যন্ত এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনে ডি ইউনিটের ৪১০০০১ থেকে ৪১৩৭১২, ই ইউনিটের ৫১০০০১ থেকে ৫১০৬১৪ এবং এফ ইউনিটের ৬১০০০১ থেকে ৬১২২৯০ রোল পর্যন্ত এবং যবিপ্রবির লাইব্রেরি ভবনে ডি ইউনিটের ৪১৩৭১৩ এবং ৪১৪১৫৫ রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা হবে। বিস্তারি তথ্যের জন্য ভিজিট করতে হবে www.just.edu.bd এই ওয়েবসাইটে।
সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন: ক্যালকুলেটর (শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যালকুলেটর আনা যাবে), মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নির্দেশ অমান্যকারীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বন করতে না পারে এ জন্য সবকটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ভর্তি পরীক্ষা শেষে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ১ ডিসেম্বর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।