বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, দেশের বিরাট যুব সমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যারা শিক্ষা জগতে আছি, এ দায়িত্ব তাদের। তাই, ডিগ্রি সর্বস্ব শিক্ষা দিলে হবে না, কার্যকর শিক্ষা দিতে হবে। এই জনসম্পদকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের বিরাট জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, এ জন্য সরকারের ফোকাস হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর। বর্তমান সরকারের আমলে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এরমধ্যে সাতটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপরই সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছে। আমাদের কাজ হচ্ছে এসব জায়গায় ঠিকভাবে পারফরম্যান্স হচ্ছে কি না, তার উপর নজর দেয়া।
তিনি বলেন, শুদ্ধাচার হচ্ছে আমাদের আচার-আচরণ শুদ্ধ করা। আমরা যতটুকুই করি, সেটা যেন নিষ্ঠার সঙ্গে করি। যতটুকু করার প্রয়োজন শুধুমাত্র ততটুকুই করি। আর যেটা বলি সেটাই যেন করি। আমরা কথা বলি একটা করি আরেকটা এটা শুদ্ধাচারের মধ্যে পড়ে না। যেহেতু আমরা শিক্ষাঙ্গণে থাকি, তাই আমাদের ক্লাসগুলো যেন ঠিকমতো হয়, ল্যাবরেটরির কাজগুলো যেন সঠিকভাবে হয়, সেটিই হচ্ছে মূল কাজ।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল মজিদ, ডিনস্ কমিটির আহ্বায়ক ড. মো: ওমর ফারুক, ইউজিসির পরিচালক মো: কামাল হোসেন, যবিপ্রবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: জিয়াউল আমিন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: আহসান হাবীব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল মিয়া, উপ-সচিব শাহিন সিরাজ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ যবিপ্রবির সকল ডিন, চেয়ারম্যান এবং দপ্তর প্রধানরা।