সরাইলে ৮ যুবকের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেছে ছাত্রীর পিতা। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ৩১শে অক্টোবর এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সুপারিশ সম্বলিত এ অভিযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর কাছে প্রেরণ করেছেন ইউএনও।
অভিযোগপত্র ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সরাইল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে ওই ছাত্রী।
অনার্স শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার কলেজের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে কালিকচ্ছ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। সেই সাথে ছাত্রীর উদ্দেশ্য কুবাক্য ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে তারা ছাত্রীকে শারীরিকভাবে নাজেহাল ও লাঞ্ছিত করে।
বখাটেরা ওই ছাত্রীর মাথায় আঘাত করে। চোখে যন্ত্রণাদায়ক আঘাত করে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। সড়কে যাওয়ার পথে ছাত্রীর এক মামা ঘটনা দেখে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে বখাটেরা তার উপরও আক্রমণ করে মারধর করে। আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রীর বাবা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেরা তাকেও ধাওয়া করে সকাল বাজার এলাকা পর্যন্ত আসে। তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রীর বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ও লাঞ্ছিত করে। বাজারের লোকজনের সহায়তায় ছাত্রীর বাবা রক্ষা পায়। অন্য অভিযুক্তরা হলো- ওমর, আবু বক্কর, আবু সুফিয়ান ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জন। ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে পড়তে চায়।
কিন্তু ওই বখাটেদের উত্ত্যক্তের ভয়ে প্রায়ই কলেজে যেতে চাই না। সবসময় আতঙ্কে থাকে। আমি এর একটা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন, একাধিকবার অভিযান করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরাও চেষ্টা করছি।