চলতি বছরের শুরুতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাড়ে ৩১ হাজার এন্ট্রি লেভেলের শূন্য পদে প্রার্থী সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। নানা অজুহাতে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যোগদান করতে দেননি কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান। যদিও এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়া প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটিও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে এমপিও নীতিমালায়। তারপরেও যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের যোগদানে বাধা দিয়েছেন তাদের শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শোকজ করার নির্দেশ দিয়ে গত ৩০ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়া কমিটি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এমপিও নীতিমালায়। তবুও নানা অজুহাতে প্রার্থীদের অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রার্থীদের যোগদান করতে দেননি।
জানা গেছে, এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের শিক্ষক পদে যোগদান করতে না দেয়ায় অধ্যক্ষ বা প্রধানদের এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধ্যক্ষ বা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরকে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮.১ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে উক্ত পদে মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে সেই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত জানুয়ারিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজার ৬৬৫টি এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করা হয়। সে প্রেক্ষিতে অনেক প্রার্থীকে নানা অজুহাতে যোগদান করতে দেয়নি কমিটি বা প্রতিষ্ঠান প্রধান। প্রার্থীদের কাছ থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে এনটিআরসিএ। সে প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে বলা হয়েছে।