মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার একটি বিপণিবিতানে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আবুল হাশেমকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল দুপুরে মিলি প্লাজায় ওই হয়রানির ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আবুল হাশেম জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিলি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা এক নারীর শরীরে আচমকা হাত দেন হাশেম। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে হাশেমকে আটক করে। পরে তাঁকে উত্তমমধ্যম দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া করে পৌরসভার সামনে থেকে ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, পুলিশের উপস্থিতিতে হাশেম যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় তিনি নিজে থেকেই কয়েকবার কানে ধরে উঠবোস করে ক্ষমা চান।
নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার সুপার জিয়াউল হক বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় গত ৩ জুলাই আবুল হাশেমকে মাদরাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’