গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৫৯ সদস্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এরা প্রত্যেকে অজ্ঞান পার্টির পেশাদারী সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে সেইসঙ্গে এই ঈদকে ঘিরে অজ্ঞান পার্টি সক্রিয় হয়ে ওঠায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
আটকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের চেতনা-নাশক ওষুধ, স্প্রে, গুল, মলম, পাগলা মলম, ফোল্ডার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেপারিরা ঢাকায় গরু আনতে শুরু করেছে এবং হাটও দিন দিন জমে উঠছে।
গত কিছুদিন ধরেই এই সন্দেহভাজন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গরু ব্যবসায়ী ও গরু বিক্রেতাদের টার্গেট করে তাদের খাবারের সাথে চেতনা-নাশক মিশিয়ে টাকা পয়সা লুটপাট করে আসছিল বলে তিনি জানান।
তারা চারজন পাঁচজনের একটি গ্রুপ হয়ে হামলা চালিয়ে থাকে। একেকটি গ্রুপের হামলা চালানোর ধরন একেক রকম, কেউ খাবারে চেতনা নাশক খাইয়ে কিংবা চোখে মুখে মলম বা স্প্রে ছিটিয়ে লুটপাট করে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ঈদের শেষ দিন পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এমন অবস্থায় প্রত্যেককে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মি. বাতেন বলেন, “নিজেদের সাবধানতার কথা ভেবে হলেও অপরিচিত মানুষদের থেকে এবং রাস্তা থেকে কিছু খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষ সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।”